৫. ছারিয়্যা মাইফাআসপ্তম হিজরীর রমযান মাসগালিব ইবনে আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এই ছারিয়্যা বনু আউয়াল এবং বনু আবদ ইবনে ছালাবা গোত্রকে শিক্ষা দেয়ার জন্য পাঠানো হয়। অপর এক বর্ণনায় জুহাইনা গোত্রের হারকাত শাখার লোকদের শিক্ষা দেয়ার জন্য পাঠানো হয় বলে উল্লেখ রয়েছে।...
৪. ফেদেক অঞ্চলে ছারিয়্যাসপ্তম হিজরীর শাবান মাসহযরত বশীর ইবনে সা’দ আনসারী (রা.)-এর নেতৃত্বে তিরিশজন সাহাবার একটি দল অভিযানে বের হন।বনু মাররা গোত্রের লোকদের শিক্ষা দিতেই এটি প্রেরণ করা হয়।হযরত বশীর তাঁর এলাকায় পৌঁছে ভেড়া, বকরি এবং অন্য পশুপাল তাড়িয়ে নিয়ে...
ছারিয়্যা তোরবাসপ্তম হিজরীর শাবান মাসএ ছারিয়া হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর নেতৃত্বে পরিচালনা করা হয়। তাঁর সাথে ছিলেন তিরিশ জন সাহাবা। তারা রাতের বেলা সফর এবং দিনের বেলায় লুকিয়ে থাকতেন। বনু হাওয়াযেন গোত্রের লোকেরা এ খবর পাওয়ার পর পালিয়ে যায়।...
ছারিয়্যা কোদাইদসপ্তম হিজরীর সফর বা রবিউল আউয়াল মাসপ্রেরিত সাহাবারা রাতের বেলা আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু লোককে হত্যা করেন। শত্রæরা এক বিরাট দল নিয়ে মুসলমানদের মোকাবেলায় অনুসরণ করেছিলো কিন্তু তারা মুসলমানদের কাছে এলে বৃষ্টি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর পানির সয়লাব...
যাতুর রেকা অভিযানমোটকথা, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কর্মপদ্ধতির ফলে খন্দকের যুদ্ধের সময়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তিনটি শক্তিই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো। এর ফলে সমগ্র এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তার বিস্তার ঘটে। এরপরে বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু গোত্র হৈ চৈ করেছিলো কিন্তু...
যাতুর রেকা অভিযানপ্রতিজ্ঞা পূরণের জন্য যে রাত্রিকালে এলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদেরকে শত্রæদের হাত থেকে হেফাযত করতে ওব্বাদ ইবনে বাশার এবং আম্মার ইবনে ইয়াসেরকে নিযুক্ত রেখেছিলেন। লোকটি আসার সময় হযরত ওব্বাদ নামায আদায় করছিলেন। সে অবস্থায় শত্রæ তাঁকে...
যাতুর রেকা অভিযানসহীহ বোখারীর এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে যে, এ লোকটির নাম গোওরেস ইবনে হারেছ। উক্ত বর্ণনা মোসাদ্দাদ আবু আওয়ানা থেকে এবং আবু আওয়ানা আবু বিশর থেকে উল্লেখ করেছেন। ইবনে হাজার আসকালানি বলেন, ওয়াকেদী এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করতে...
যাতুর রেকা অভিযানরসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরে লোকটিকে ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে হযরত যাবের (রা.) উল্লেখ করেছেন। লোকটি নিজের কওমের কাছে গিয়ে বললো, আমি সবচেয়ে ভালো মানুষের কাছ থেকে তোমাদের কাছে এসেছি। সহীহ বোখারীর এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে যে, নামাজের...
যাতুর রেকা অভিযানআমি বলেছি, আল্লাহ রক্ষা করবেন। এই সেই লোক। এরপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে কোন কটু কথা বলেননি। আবু আওয়ানার বর্ণনায় আরো উল্লেখ রয়েছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখনই বললেন যে, আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করবেন...
যাতুর রেকা অভিযানহযরত যাবের বলেন, আমরা সকলেও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ইত্যবসরে একজন পৌত্তলিক এসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তলোয়ার হাতে নিয়ে বললো, তুমি আমাকে ভয় পাও? রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবিচলিত কন্ঠে বললেন, না, মোটেই না। পৌত্তলিক বললো, তোমাকে...
যাতুর রেকা অভিযান আমমার নিজের দুই পা যখন হয়ে যায়, নখে আঘাত পাই। ফলে আমরা পায়ে পট্টি বেঁধেছিলাম। যাতুর রেকা মানে হচ্ছে পট্টিওয়ালা। কেননা এই অভিযানের সময় আমরা পায়ে পট্টি বেঁধে রেখেছিলাম। সহীহ বোখারীতে হযরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে,...
যাতুর রেকা অভিযানপরে চারশত মতান্তরে সাতশত সাহাবাকে নিয়ে নযদ অভিমুখে যাত্রা করেন। মদীনা থেকে দুইদিনের পথের নাখলা নামক জায়গায় পৌঁছার পর তারা বনু গাতফানের একদল লোকের মুখোমুখি হন। কিন্তু তাদের সাথে যুদ্ধ হয়নি। তবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে...
যাতুর রেকা অভিযানএরপর তিনি খয়বরে গিয়ে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে দেখা করেন। ততদিনে খয়বর বিজয় সমাপ্ত হয়ে গেছে। হযরত আবু মূসা আশয়ারীও হাবশা থেকে সেই সময় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে খয়বরে পৌঁছেছিলেন যখন খয়বর বিজিত হয়েছে।...
যাতুর রেকা অভিযানএ সকল বেদুইনকে প্রভাবিত মদীনার আশেপাশে সমবেত বেদুইনদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক শিক্ষামূলক অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানই যাতুর রেকা অভিযান নামে পরিচিত।সীরাত রচয়িতারা উল্লেখ করেছেন যে, চতুর্থ হিজরীতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।...
যাতুর রেকা অভিযানরসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খন্দকের তিনটি শক্তির মধ্যে দুটি শক্তি নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার পর তৃতীয় শক্তির প্রতি মনোযোগী হওয়ার সুযোগ পেলেন। এরা ছিল বেদুইন। নজদের প্রান্তরে তাঁবুতে তারা জীবন কাটাতো। লুটতরাজই ছিল তাদের জীবিকার উৎস। বেদুইনরা কোন...
কেননা মদীনার আশে পাশে এমন অনেক বেদুইন রয়েছে, যারা লুটতরাজ এবং ডাকাতির জন্য মুসলমানদের অমনোযোগিতার অপেক্ষায় থাকে। এ কারণে খয়বরের অভিযানে যাওয়ার সময় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেদুইনদের ভীত সন্ত্রস্ত্র রাখার জন্যে আবান ইবনে সাঈদের (রা.) নেতৃত্বে নজদের দিকে...
কিন্তু পথশ্রমের ক্লান্তিতে তিনিও এক সময় ঘুমিয়ে পড়েন। কেউই নামাজের সময় জাগতে পারেননি। সর্বপ্রথম আল্লাহর রসূলের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি সাহাবাদের জাগিয়ে সেই স্থান থেকে কিছু সামনে এগিয়ে যান। এরপর সাহাবাদের নিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করেন। বলা হয়ে থাকে যে,...
মদীনায় প্রত্যাবর্তনএরপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনার পথে রওয়ানা হন। ফেরার সময়ে এক প্রান্তরের কাছে পৌঁছে সাহাবারে উচ্চস্বরে তকবির ধ্বনি দেন। তারা বলেন, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অতো জোরে বলার...
তায়মা তায়মার ইহুদীরা খয়ববর ফেদেক ওয়াদিউল কোরা বা কোরা প্রান্তরে ইহুদীদের পরাজয় ও আত্মসমর্পনের খবর পায়। এরপর তারা নিজেরাই প্রতিনিধি পাঠিয়ে সন্ধির প্রস্তাব করে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। আল্লাহর রসূল এ সম্পর্কে একটি চুক্তিও লেখান।...
ফেদেকএরপর ইহুদীদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন। এমনিভাবে লড়াই করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরদিন সকালে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের সঙ্গে নিয়ে ইহুদীদের সাথে মোকাবেলার জন্য পুনরায় হাযির হন। সূর্য তখনো বেশি উপরে উঠেনি। এ সময়েই ইহুদীরা...
ফেদেকরসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদীদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেন। তারা গ্রহণ করেনি। ওদের একজন যুদ্ধের জন্য এগিয়ে আসে। মুসলমানদের পক্ষ থেকে হযরত যোবায়ের ইবনে আওয়াম (রা.) এগিয়ে যান এবং ইহুদীকে হত্যা করেন। অন্য একজন ইহুদী এগিয়ে এলে হযরত...
ফেদেকইহুদীদের তীর নিক্ষেপে আল্লাহর রসূলের একজন ভৃত্য মারা যান। সাহাবারা বললেন, তার জন্যে জান্নাত মোবারক হোক। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, কিছুতেই নয়। সেই জাতের শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, সে ভৃত্য খয়বর যুদ্ধের গনীমতের মাল বন্টন হওয়ার...
ফেদেকরসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা গ্রহণ করেন। এতে করে ফেদেকের জমি বিশেষভাবে আল্লাহর রসূলের জন্য নির্ধারিত থাকে। কেননা, মুসলমানরা ফেদেক অভিযানের জন্যে যাননি অর্থাৎ তলোয়ারের জোরে ফেদেক জয় করা হয়নি।ওয়াদিউল কোরাখয়বর অভিযান শেষে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়াদিউল...
খয়বরের যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিরাএক বর্ণনায় রয়েছে যে, তিনি বদর যুদ্ধে শহীদ হন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তিনি খয়বর যুদ্ধে শহীদ হন। আমার মতে প্রথমোক্ত বর্ণনাই নির্ভরযোগ্য। আর নিহত ইহুদীদের সংখ্যা ছিলো ৯৩।ফেদেকরসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খয়বর পৌঁছে মোহাইয়াসা ইবনে মাসউদকে...